যেসব ভাইয়েরা অশ্লীলতার কুফল নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে চান, কিন্তু বুঝতে পারছেন না কিভাবে শুরু করবেন, কি নিয়ে কথা বলবেন, কোথায় যাবেন – এই নোট, আলোর মিছিলে নাম লিখাতে চাওয়া সেই ভাইদের জন্য।

কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন?

‘মুক্ত বাতাসের খোজে’ বইটা আগে নিজে পড়ুন। এরপর বইয়ের আর্টিকেল এর ক্রমানুসারে আলোচনা করতে পারেন।

১. পর্ন কেন দেখা যাবে না? মাস্টারবেট কেন করা যাবে না? কী এমন ক্ষতি? আমি তো শুধু পর্ন দেখি কারও ক্ষতি তো করছি না? (keywords: মাদকের চেয়েও ক্ষতিকর, ধর্ষণ, খুন, অজাচার, বিবাহ-বিচ্ছেদ, পশুদের মত যৌন প্রবৃত্তি, শারীরিক ক্ষতি-যৌন ক্ষমতা লোপ, ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ইত্যাদি)

২. আচ্ছা মানলাম এগুলা অনেক ক্ষতি করে, শুধু নিজের না অন্যেরও ক্ষতি করে। কিন্তু আমি নিরুপায়, আসক্ত। এ থেকে বের হতে পারছি না। কী করবো?

৩. অনেকদিন এগুলা থেকে দূরে ছিলাম হঠাৎ অমুক ছবি/ভিডিও/ভাবনা আমাকে বাধ্য করলো পর্ন-মাস্টারবেশনে। এখন? আমি বোধহয় এই নেশা থেকে বের হতে পারবোনা?

৪. আচ্ছা আমি সব ছেড়ে দিলে কি শারীরিক মানসিক ক্ষতি রিকভার করা সম্ভব? কতদিন লাগবে? কি কি খাবো? আল্লাহ কি আমাকে মাফ করবেন?
(keywords: বইয়ের ‘বৃত্তের বাইরে’ অধ্যায়টা)

এই প্রশ্নগুলার উত্তর নিয়ে গুছিয়ে আলোচনা করতে পারেন। যার/যাদের সাথে আলোচনা করবেন উনাদের বলতে পারেন ‘মুক্ত বাতাসের খোঁজে’ বইটা পড়ার জন্য। আপনি নিজে বই উপহার দিতে পারেন বা মোবাইলে বইয়ের পিডিএফ/এপ্স দিয়ে দিতে পারেন ইনশা আল্লাহ।

এর পাশাপাশি ভেঙ্গে ফেলো এই কারাগার সিরিজের লেখাসহ আরও কিছু লেখা পড়ে নিতে পারেন। এগুলোও আপনাকে অনেক সাহায্য করবে আলোচনার ক্ষেত্রে। সবগুলোর লিংক আলাদাভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে প্রয়োজনীয় লিংক অংশে। (কমেন্টে দেওয়া হয়েছে)

কোথায় এবং কিভাবে দাওয়াহর কাজ করবেন?

১) স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট তথা সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে পর্ন, হস্তমৈথুন, চটিগল্প, আইটেম সং এর ক্ষতিকর দিক নিয়ে লিফলেট বিতরণ/সেমিনার আয়োজন করা।

সেমিনারের আয়োজন: কয়েকজন বন্ধু মিলে স্কুল, কলেজে গেলেন। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ক্লাসরুমে গিয়ে ছাত্রদের পর্ন হস্তমৈথুনের ভয়াবহতার ওপর কিছু কথা বললেন। (ফ্রি মিক্সিং যেন না হয়, সতর্ক থাকতে হবে। ছেলেরা ছেলেদের নসীহত করবেন, মেয়েরা মেয়েদের) আসক্তি থেকে বের হয়ে আসার কিছু টিপস দিয়ে দিলেন। ব্যস, এতেই হবে ইনশা আল্লাহ। ভিডিও দেখানো যেতে পারে। কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যেতে পারে। পুরষ্কার হিসেবে যদি চকোলেটও দেন তাহলেও ছাত্রছাত্রীরা আনন্দ পাবে। এগুলো করার জন্য খুব বেশি লজিস্টিক সাপোর্ট এর দরকার পড়েনা। এক্সপার্ট হবারো দরকার নেই। কিছু সাধারণ জ্ঞান থাকলেই চলে। মুক্ত বাতাসের খোঁজে বইটা পড়া থাকলে তো পোয়াবারো। আপনি তাদের মনোজগতে ছোট্ট একটা নাড়া দিয়ে আসলেন। অন্ধকার কানাগলিতে আলো হাতড়ে বেড়ানো মানুষদের পথের চিহ্ন বলে দিলেন। বাকী পথটুকু তারা নিজেরাই হেঁটে যাবে ইনশা আল্লাহ।

২) পর্ন, হস্তমৈথুন, চটিগল্প তথা সামগ্রিক নৈতিক অবক্ষয়ের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির কাজে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটির সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ। ছাত্ররা কাদামাটির মতো, আপনারা চাইলে তাদেরকে যেভাবে খুশি সেভাবে গড়ে নিতে পারেন। ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক, সপ্তাহের পাঁচ/ছয়দিন তাদের, আপনাদের সামনে বসে থাকতে হয়। আপনাদের ক্লাস লেকচার শুনতে হয়। আপনারা তাদের দ্বিতীয় বাবা-মা। আপনারা কি চান এভাবে আপনাদের সন্তানেরা নষ্ট হয়ে যাক?

আপনারা এগিয়ে আসুন। আপনাদের সন্তানদের ভুল পথ থেকে ফিরিয়ে আনুন। ছাত্ররা আপনাদের নিকট আমানত। ভলান্টিয়ার ভাইয়েরা আপনারা আপনাদের স্কুল কলেজের প্রিয় স্যারগুলোর কাছে যান। তাঁদেরকে মুক্ত বাতাসের খোঁজে বইটা পড়তে দিন। আমাদের ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওগুলো দেখতে নিন। দুয়া নিয়ে আসুন।

৩) অভিভাবকদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা জরুরী। মুক্ত বাতাসের খোঁজে বই পড়াতে পারলে খুবই ভালো হয়। বেশিরভাগ অভিভাবকই এ বিষয়ে একদম সচেতন নন। ভেবে বসে থাকেন যে তাঁদের সন্তান কখনোই এই কাজে জড়াতে পারেননা। অভিভাবকদের ব্যাপকমাত্রায় সচেতন করতে হবে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এসএসসি, এইচসি বা ভর্তি পরীক্ষার সময় পরীক্ষা কেন্দ্রের বাহিরে অনেক অভিবাবক অলস সময় কাটান। এই সুযোগে তাদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা যেতে পারে।

স্কুল বা কলেজগুলোর অথোরিটি মাঝে মাঝে অভিভাবকদের নিয়ে মিটিং ডাকেন। এই মিটিংগুলোতে পর্ন,হস্তমৈথুন আসক্তির ভয়াবহতা, সন্তানদের এই ফিতনাহগুলো থেকে রক্ষার উপায় নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। সম্মানিত শিক্ষকরা এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

৪) ইমাম সাহেবদের এ ব্যাপারগুলোতে সচেতন করা জরুরী। পর্ন,হস্তমৈথুনের ভয়াবহতা সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করতে হবে। দুই-তিনদিন জুমআর খুতবায় এ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য অনুরোধ করতে হবে। একান্তই সম্ভব না হলে কমপক্ষে এক জুমআ। তাঁদের কাছ থেকে লিফলেট বিতরণ সংক্রান্ত সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। ঈদের খুতবাহতে আলোচনা করা যেতে পারে। ঈদ্গাহে কমিটির সাহায্য ও অনুমতি সাপেক্ষে লিফলেট বিতরণ করা যেতে পারে।

খুবই ভালো হয় যদি ইমাম সাহেবদের হাতে এক কপি করে মুক্ত বাতাসের খোঁজে বই তুলে দেওয়া যায়। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান ভাইয়েরা এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে পারেন।

৫) চিকিৎসক, মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। আমরা সাধারণ আম জনতা। আমরা এক ঘন্টা বকবক করে মানুষকে পর্ন,হস্তমৈথুনের ব্যাপারে যতোটুকু সচেতন করতে পারবো, আপনারা হয়তো পাঁচ মিনিট বা আরো কম কথা বলে এর চাইতে বেশি সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারবেন। আমরা হাজার যুক্তি, রেফারেন্স দিয়ে বোঝালেও আমাদের কথা হেসে উড়িয়ে দেবার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু আপনাদের কথা গুরুত্বসহকারে নিবে। এ সমাজ, এ ভূমি আমার, আপনার সকলের। আসুন অসহায়দের পাশে এসে দাঁড়ান। ব্যস্ত সময়সূচী থেকে কিছুটা সময় বের করুন। স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটিগুলোতে সেমিনার, ওয়ার্কশপ করুন। সমাজটাকে বাঁচাতে হবে ।ভাইয়েরা, আপনার নিকটস্থ চিকিৎসক বা মেডিকেল শিক্ষার্থীদের কাছে যান। তাঁদেরকে মুক্ত বাতাসের খোঁজে বইটা পড়তে দিন। আমাদের ওয়েবসাইটের লিখাগুলো পড়তে দিন। সচেতন করুন।

৬) বন্ধুদের মধ্যে এ ব্যাপারগুলো নিয়ে অবস্থা এবং সময় বুঝে আলোচনা করা দরকার। বই কিনে উপহার দিন। পিডিএফ পড়তে দিন। যাদেরকে পড়তে দেওয়া হচ্ছে, তারা আসলেই বইটা পড়ছে সেটি নিশ্চিত করা দরকার । প্রয়োজনে ট্রিটের লোভ দেখিয়ে পড়ানো যেতে পারে। আপনাকে নিয়ে তারা হাসি ঠাট্টা করবেই। এইটা ধরে নিয়েই কাজে নামতে হবে।

৭) ফটোকপি বা কম্পিউটারের দোকানদারদের বোঝানো। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাদের অনেকেই পর্ন বিক্রি করে। মেমোরি কার্ডে পর্ন লোড করে দেয়। তাদের গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে সুন্দর করে এর ভয়াবহতা বোঝানো জরুরী। কথা না শুনলে প্রয়োজনে এলাকার প্রভাবশালী মুরুব্বীদের সাথে নিয়ে তাদের পরামর্শে ব্যবস্থা নিন।

৮)

ক. যারা ইন্টারনেট প্রোভাইডার তাদের মাধ্যমে বাসায় বাসায় লিফলেট পোঁছানো যেতে পারে। তাদের সাহায্য নিয়ে রাউটারের মাধ্যমে পর্ণ সাইটগুলো ব্লক করে নেওয়া জরুরী।

খ. ক্যাবল টিভির অপারেটরদেরও এই ব্যাপারে দাওয়াত দেওয়া উচিত। সমাজের নেতৃত্বস্থানীয় মুরুব্বীদের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার অনুরোধ করা হচ্ছে।

গ. দৈনিক পত্রিকা বিতরণ অফিসগুলোর মাধ্যমে ঘরে ঘরে পত্রিকার সাথে আমাদের লিফলেটগুলো পৌঁছানর ব্যবস্থা করুন। এটা এক ঢিলে দুই পাখির মত, অভিভাবকরাও জানবেন, তরুণরাও সচেতন হবেন।

৯) আপনারা যারা ফটো এডিটিং করতে পারেন তারা ‘মুক্ত বাতাসের খোঁজে’ বইয়ের লেখাগুলো দিয়ে বা অন্য কোনো দাওয়াতি লেখা দিয়ে স্টিকার বা পোস্টার বানাতে পারেন। স্কুল-কলেজ-ভার্সিটির বাথরুমে, দেয়ালে বা পাব্লিক প্লেসে, বাসে যেখানে যেখানে আজেবাজে লেখা বা ছবি আছে সেগুলার উপর লাগিয়ে দিতে পারেন।

কিভাবে শুরু করবেন বুঝতে পারছেন না?
এর একটাই কারন, আপনারা সহজ কাজকে কঠিন ভাবে চিন্তা করছেন। প্রথমেই ভাবছেন মাত্র কয়েকজন কিভাবে পুরো এলাকা বা জেলায় কাজ করবো! এত এত টাকা কোথা থেকে আসবে! ইত্যাদি। ভাই আমার, এত কঠিনভাবে কেন ভাবছেন?

  • আপনার কেউ নাই! একা। তাহলে কিভাবে আগাবেন? পাশের বাড়ির বন্ধু বা ছোট ভাইকে দিয়েই শুরু করুন না! আপনার আন্তরিকতায় অন্তত একজন ফিরে আসতে পারলে এটাই তো আপনার সফলতা। চেষ্টা করাটাই তো আসল, বাকিটা আল্লাহর ফয়সালা।
  • ২-৩ জন জোগাড় হয়েছে, নাহ এত অল্প মানুষ দিয়ে কি পুরো গ্রাম/এলাকা চষে বেড়ানো সম্ভব। ধুর বাদ দেই প্ল্যান। – এই যে হতাশ ভাই, শয়তান তো শুরুতেই আপনাকে হারায় দিচ্ছে! ২-৩ জন নিয়ে পুরো এলাকা দাপাতে কে বলেছে? একটা স্কুল/ মহল্লার ভাইদের/ মসজিদে শুরু করে দিন দাওয়াহর কাজ। পুরো এলাকায় যেতে হবে কেন?
  • একটা লিফলেটের দাম ২ টাকার আশেপাশে। ২০০ টাকার মতো হলেই আনুষঙ্গিক সকল খরচ সহ ৫০/৬০ জন মানুষের হাতে লিফলেট পৌঁছানো যায়। কাজেই আপনার টাকা নেই এভেবে হতাশ হয়ে বসে থাকবেন না।

ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়া খুব কাজের জিনিস, সহজেই লোকবল খুজে পাওয়া যায়, একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা যায়, ম্যাসেজ পৌঁছানো যায় দূরদূরান্তে। এই প্লাটফর্মকে কাজে লাগান। আপনারা যে এলাকায় কাজ করতে চান সে এলাকায় আগে থেকে কেউ কাজ করছে কিনা তা জানার জন্য দেখুন এলাকাভিত্তিক সংগঠনের লিস্ট। আপনার এলাকায় কেউ না থাকলে আপনি কোন এলাকায় টিম খুলতে চাচ্ছেন সেটা মুক্ত বাতাসের খোঁজে গ্রুপে পোস্ট করে জানান। দেখবেন আপনার পোস্টের কমেন্টে আপনার এলাকার অনেক সমমনা ভাইদের পেয়ে যাবেন। পাশাপাশি আমাদের পেইজে জানালেও আমরা আপনার এলাকায় কাজ করছেন এমন ভাইদের সন্ধান দিতে পারব ইনশা আল্লাহ্।

আপনারা কাজ শুরু করার সময় একটা পেজ বা গ্রুপ খুলে নিন। আপনারা কি কাজ করতে চান, কবে শুরু করবেন, কোথায় করবেন- এসব আপডেট দিতে থাকুন। ছবি দিন। ভিডিও শেয়ার করুন। অনলাইনেও প্রচার করুন আপনাদের কাজ। মানুষ চিনবে, জানবে, উৎসাহ দিবে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ। এই প্রচারণাই আপনাদের সাপোর্ট দিবে পরবর্তী ইভেন্ট করার।

১০) ক্যাম্পেইন এর কাজ শুধু দাড়ি, টুপি ওয়ালাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবেন না। দাড়ি টুপি নেই ধূমপান করে কিন্তু ইসলামকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে এমন মানুষের অভাব নেই। ইসলামের জন্য, সমাজের উন্নতির জন্য কিছু করার সুযোগ পেলে এরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে। এদের অবশ্যই সঙ্গে রাখবেন। অশ্লীলতা থেকে সমাজকে বাঁচানো প্রতিটি সুস্থ বিবেক সম্পন্ন মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কাজ করতে পারা, কাজের সুযোগ পাওয়া প্রত্যেকটি সুস্থ মানসিকতা সম্পন্ন মানুষের অধিকার। তাদেরকে সেই কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করবেন না। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর, বিভিন্ন বয়সের, পেশাজীবীর মানুষদের সাথে নেন। একা একা কিছুই করতে যাবেন না।

১১) ক্যাম্পেইনে এলাকার মুরুব্বী, আলেম উলামা, ইমাম, স্থানীয় প্রভাবশালী গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষকদের পরামর্শ,দিক নির্দেশনা নিন। আমাদের অভিজ্ঞতা বলে তাঁদের কাছে গেলেই তারা অত্যন্ত খুশি মনে আগ্রহের সাথে সাহায্য করেন। ক্যাম্পেইনে মুরুব্বিদের সাথে নিয়ে যান। তাঁদের সামনে রাখেন।

১২) একটা কথা বলা প্রয়োজন মনে করছি। নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যে এ ধরণের কাজে বেশি প্ল্যান করলে মাঠে আর নামা হয় না। এমনো দেখা গেছে, এক দুই সপ্তাহ ধরে প্ল্যান করে করে খাতা কলমে বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছি, কিন্তু বাস্তবে একটা প্ল্যানও বাস্তবায়ন করতে পারিনি। তাই আমাদের সাজেশন থাকবে বেশি প্ল্যান না করে কাজে নেমে পড়া। কাজ করতে করতে প্ল্যান করা। বেশি প্ল্যান করলে দেখবেন শেষমেষ কিছুই করা হয়ে ওঠেনি। আল্লাহর ওপর ভরসা করে মাঠে নামুন। আল্লাহ বারাকাহ ঢেলে দিবেন ইনশা আল্লাহ। বিশ্বাস করেন, বুঝতেই পারবেন না কীভাবে কীভাবে কতো সহজে কাজ হয়ে গেল। ভরসা রাখুন আল্লাহর ওপর। নিশ্চয়ই আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে।