ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রঙধনু রিলেটেড কন্ট্রোভার্সি বারবার হবে এটা সহজেই ধরে নেওয়া যায়। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়কেই প্রথম তারা এসবের আখড়া বানাতে চায়। এমন কন্ট্রোভার্সিগুলো একদিক থেকে ভালো। এভাবে এ আলোচনাগুলো জাতীয়পর্যায়ে পৌঁছে যায় এবং দেশব্যাপী মানুষ এসবের ব্যাপারে অবগত হয়।

ভেবে দেখুন, কজন এনএসইউর ঘটনার আগে এসব সম্পর্কে জানতো? কালকের ঘটনার আগে ব্র্যাক যে মূল কালপ্রিট- সেটাও বা কজন জানতো?

এমন সিচুয়েশনগুলো হলো ডাবল এজড সোর্ড। আপনারা কাজে না লাগাতে পারলে তারা কাজে লাগাবে। এভাবে ইস্যুটার যে মোমেন্টাম তৈরি হয়েছে তা সহজেই হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। তাই ঢাকার ভার্সিটির ভাইদেরকে কিছু কাজ করা উচিত যা লঙ টার্মে কাজে দেবে। আর শুধু কন্ট্রোভার্সি ঘটলেই না, বরং ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যকার চিন্তাভাবনা সংশোধনের ক্ষেত্রেও দেবে।

কাজ-

১. একটি শক্তিশালী কম্যিউনিটি করে ফেলা। নিজেরা টাচে থাকা, ছোটখাটো কাজ করা, সম্পর্ক বিল্ড আপ করা। এক ভার্সিটির ভাইরা সপ্তাহে একবার একসাথে ইফতার করেন, একই স্থানে দেখা সাক্ষাত করেন। আরেক ভার্সিটির ভাইরা বই নিয়ে আলোচনা করেন প্রতি সপ্তাহে। একসাথে ট্যুর, খাওয়াদাওয়া তো আছেই। সবাই দেখুক।

২. ট্র্যান্স মতবাদ ও রঙধনু সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখা। এর মধ্যে আছে-

  • আমরা কোন কোন দিক থেকে এর বিরোধিতা করছি?
  • আমাদের দাবি কী?
  • বাংলাদেশে ট্র্যান্স এক্টিভিজমের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, মূল কারিগর কারা
  • কিছু এফএকিউ।

সাংবাদিকরা প্রশ্ন করবে, ওরা অনেকভাবে ব্যাপারগুলোকে অন্যখাতে প্রভাবিত করতে চাইবে। একইসাথে প্রোপারলি দাবি জানাতে না পারলে পুরো কাজই হাস্যকর হয়ে যাবে। মানুষ বিভ্রান্ত হবে। তাই এগুলো প্রত্যেকের জানা উচিত, মুখে মুখে থাকা উচিত।

৩. মোটামুটি ধার্মিক ফ্যাকাল্টিদের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করা। ইউ নিড অল দ্য হেল্প ইউ ক্যান গেট। তাদের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করলে তারা প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যাগুলোতে আপনাদেরকে সাহায্য করতে পারবে, কীভাবে এগোলে সবচেয়ে ভালো হবে তা বলতে পারবে এবং আপনারা সিস্টেমেটিকেলি আপনাদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছাতে পারবেন।

৪. সাধারণ ছাত্রদের কাছে বিভিন্ন এক্টিভিজমের মাধ্যমে পৌঁছানোর চেষ্টা করা। আমরা কেন জানি শুধু চেনাজানা দ্বীনি ভাইদের মধ্যেই আটকে থাকা পছন্দ করি। অথচ সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা সরব হলে এ ব্যাপারটা ফোকাসে আসবে, শক্তিশালী হবে আরো অনেক বেশি। এটা তো সব মুসলমানদেরই সমস্যা- নাকি? আর অভিজ্ঞতা বলে, সাধারণ ছাত্ররা এ ধরণের ব্যাপারগুলোতে গুরুত্ব দেয়। কিছু হলেও দেয়।

আপাতত এ কাজগুলো মাথায় আসলো। কোনোকিছুতে চুপ থাকবেন না। কথা বলবেন, প্রতিবাদ করবেন, যুক্তি দেবেন। অবশ্যই ভিডিও করে ছড়িয়ে দেবেন। ঠিক জায়গায় ঠিক কাজটা করতে না পারলে অনেকদিনের কষ্ট বৃথা যাওয়ারও সম্ভাবনা আছে।