বিপ্লবের পরিস্থিতি বিপ্লবীদের তৈরি করে নিতে হয়, পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ থাকতে হয় নিজের কাছে।
মুসলিমরা সিস্টেমেটিক ভাবে বাংলাদেশে বৈষম্য এর শিকার হচ্ছে হোক। পরদা, নিকাব করাকে অবৈধ ঘোষণা করা হোক। দাড়ি টুপিওয়ালাদের ইচ্ছে হোলেই না মানুষ বানানো হোক তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমাদের সন্তানদের উপর জেনা ব্যভিচার স১ম২কা৪মি৩তা, ট্রা৩ন্স জে১ন্ডা৩৪র চাপিয়ে দেওয়া হোক তাতেও আমার কিছু যায় আসে না আপাতত। আমার কিছু করার নেই।
অন্যরা পরিস্থিতি তৈরি করে দেবে,এরপর আমি বিপ্লব করব, সমাজ পরিবর্তন করব এখন নাকে তেল দিয়ে ঘুমাই এমন মানসিকতার ব্যক্তিদের দ্বারা কখনো বিপ্লব সাধিত হয় না। বিপ্লবের নেতৃত্ব দূরে থাক, অনেক সময় সহযোগির ভূমিকাও পালন করতে পারে না।
মদীনার ইহুদিরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য অপেক্ষা করে ছিল। একজন মহামানব এসে তাদেরকে বরতমান অবস্থা থেকে উদ্ধার করবেন, নেতৃত্ব দেবেন, তখন আরবদের তারা দেখে নেবে এসব বলে প্রতিবেশী আরবদের শাসাত। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নবুওয়াত পাবার পরেও তারা নিষ্ক্রিয় ছিল। তাদেরকে সত্যের দাওয়াত দেওয়া হলেও তারা তা গ্রহণ করেনি।
অন্যদিকে মদীনার আনসাররা সত্য খুজে বেড়িয়েছেন। গোপনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সংগে দেখা করেছেন। তার হাতে শপথ নিয়েছেন। পুরো বিশ্বের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আল্লাহর রাসুল ও মুহাজিরদের আশ্রয় দিয়েছেন।
এরপরের ইতিহাস সবাই জানে।
নিষ্ক্রিয়তার জন্য,সত্য না মানতে চাওয়ার কারণে ইহুদীরা বিপ্লবের শত্রুতে পরিণত হল। আর নিষ্ক্রিয় বসে না থেকে সত্যকে গ্রহণ করে আনসাররা পরিণত হলেন বিশ্বের সবচেয়ে সফল বিপ্লবের অংশ। আইয়ামে জাহেলিয়াত মুছে যারা পৃথিবী ভরিয়ে দিলেন ইনসাফে। চির সফল দলের অংশ হলেন।
বাংলাদেশের মুসলিমরা সমাজকে পরিবর্তনের জন্য, বিপ্লবের জন্য কি প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে? আমরা কি পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি? আমরা কি পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের জন্য কাজ করছি?
নাকি অমুক দেশ এসে আমাদের বিপ্লবের কাজ করে দেবে, ভারতীয় উপমহাদেশে বিশেষ একটা ঘটনা ঘটবে, ইমাম মাহদী আসবেন, দাজ্জাল আসবে এই আশায় বসে আছি?