অতিরিক্ত অনলাইনে সময় কাটানোর ফলে আমাদের ব্রেইনের ডোপামিন সার্কিট নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত এমন কিছু খুঁজে বেড়াই যা আরও বেশী ডোপামিন রিলিজ করবে। যার ফলে আরও বেশী অনলাইনে সময় কাটায়। অনলাইনের প্রোডাক্টিভ কোনো কাজ যেটা গুছিয়ে মনোযোগ দিয়ে করতে হয় তা পারি না। আমরা ভবিষ্যতের কথা ভাবতে পারি না। অফলাইনের কাজ তো একেবারেই টানে না। কারণ তাতে ডোপামিনের এতো তীব্র সুখ পাওয়া যাবে বলে আমাদের মনে হয় না। অতিরিক্ত অনলাইন কেন্দ্রিক জীবন আমাদের যোগাযোগের দক্ষতা,মানুষের সাথে মেলামেশা করার সক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে। আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিয়েছে। আমরা ব্যায়াম করি না। শরীরের যত্ন নেই না। রাত জেগে থাকি। খাওয়াদাওয়ার ঠিক ঠিকানা নেই। আমরা ভীতু, এককেন্দ্রিক, বিচ্ছিন্ন মানুষ হয়ে পড়েছি। এগুলো আমার কথা না। বিশেষজ্ঞদের কথা। অফলাইনে সামাজিক শক্তি অর্জনের কাজ করা দূরে থাক, সুস্থ স্বাভাবিক একজন মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার পথেই এই অভ্যাসগুলো বাঁধা।
৬. সবার লেখক, আলিম, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর বা ভাইরাল হবার ফিতনা। সেলিব্রেটিজম। ইখলাসের অভাব। আকীদা না বোঝা। এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এর বাইরে অভিভাবকদের ভোগবাদী মানসিকতা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্কৃতি এরকম আরও কিছু কারণ রয়েছে । তবে সেই কারণগুলো পরোক্ষ কারণ। তরুণরা চাইলেই সেগুলো এখন পরিবর্তন করতে পারবে না দ্রুত। কিন্তু এই ৬ টি পয়েন্টের কারণগুলো তরুণদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। ইচ্ছে থাকলেই উন্নতি করা সম্ভব।
তো কারণ নিয়ে অনেক আলোচনা করা হলো। এবার আসবে সমাধান। কিভাবে সামাজিক শক্তি অর্জনের কর্মসূচীগুলো তরুণদের এই সমস্যাগুলো দূর করতে পারে।