বর্তমানে কয়েকটা সমাজ বিধ্বংসী মতবাদের মধ্যে অন্যতম হলো ট্রান-S+জেন্ডার-iজম। বাংলাদেশে এই স্রোতের সবচেয়ে বড়ো আঘাতটা সম্ভবত এখনই চলতেছে। আমাকে-আপনাকেই মোকাবিলা করতে হবে এই ফিতনাকে। এজন্য অনলাইন-অফলাইনে সমানভাবে অ্যাক্টিভিজম চালাতে হবে। অফলাইন অ্যাক্টিভিজমের মধ্যে একটি হতে পারে স্কুল/কলেজের টিচারদের সচেতন করা। যাতে করে তাদের মাধ্যমে টিনেইজার স্টুডেন্টরা সচেতন হতে পারে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে –
১. টিচারদের কাছে কেন যাব?
টিচারদের হাতে অনেককিছু। একটা বয়স পর্যন্ত স্টুডেন্টরা বইয়ের থেকে বেশি টিচারদের বিশ্বাস করে, ভরসা করে। তাই বইয়ের কোনো বিষয়ের সাথে টিচার দ্বিমত করলে, স্টুডেন্টরা তার পক্ষে থাকার সম্ভাবনাই বেশি। সাথে প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে এতদিন ধরে চলতে থাকা সামাজিক মূল্যবোধ এবং ফিতরাত।
এলজি টিভি এজেন্ডার অন্যতম বড়ো টার্গেট হলো পাঠ্যক্রম এবং শিক্ষাব্যবস্থা। এডুকেশন সিস্টেম আমাদের কন্ট্রোলে নেই। কিন্তু এডুকেশন সিস্টেমের মধ্যেই কিছু সচেতন মানুষ তৈরী করতে পারলে, সেখান থেকে এই বিষয়গুলোর প্রত্যাখ্যান, সচেতনতা এবং দাওয়াতের রাস্তাটা মসৃণ হবে কিছুটা।
এছাড়া আলেম-উলামাদের অডিয়েন্স আর টিচারদের অডিয়েন্স আলাদা। মাঝখানে একটা কমন এরিয়ে আছে৷ কিন্তু যেই এরিয়াটা কমন না, হুজুরদের আয়ত্ত্বের বাহিরে, তাদের কাছে পৌঁছে দিতে টিচাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
২. টিচারদের কাছে কীভাবে পৌঁছাব?
ক. আপনার যদি শিক্ষকদের সাথে সুসম্পর্ক থাকে কিংবা স্কুল/কলেজএ প্রভাব থাকে, তবে ম্যাটার করে না যে আপনি ভালো স্টুডেন্ট না খারাপ স্টুডেন্ট। শিক্ষকদের কাছে যান, গিয়ে এই ইস্যু সম্পর্কে বুঝিয়ে বলুন। ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করার অনুরোধ জানান।
খ. ‘ক’ এর শর্ত পূরণ না হলে, আপনাদের মধ্যে যারা মোটামুটি একাডেমিক দিক থেকে সাময়িকভাবে সফল অর্থাৎ ভালো কোনো ভার্সিটিতে চান্স পেয়েছে কিংবা অতীতে ভালো একাডেমিক এবং কালচারাল রেকর্ড রেখেছে – এরা এইখানে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে। মূলত এরাই তাদের অতীতের টিচারদের সাথে ভালো সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে এই বার্তাগুলো পৌঁছে দিবে৷ প্রয়োজনে টিচারদের সাথে মিটিং এর আয়োজন করবে অতীতে পাশ করা কোনো একটা ব্যাচের পক্ষ থেকে। সবার অংশগ্রহণ লাগবে না। কয়েকজন (৪/৫ জন) হলেও হবে।
গ. এলাকার মুরুব্বি, ম্যানেজিং কমিটি, গভর্নিং বডি বা কোনো সচেতন গার্ডিয়ানকে মাধ্যম হিসেবে কনভিন্স (রাজি) করিয়ে টিচারদের কাছে এই বিষয়ে বার্তা পৌঁছানো। সেক্ষেত্রে এ ধরনের লোকদের আপনি আপনার মতো করে রাজি (কনভিন্স) করাবেন, আর কেউ জানতে চাইলে আমরা পরামর্শ দিতে পারি।
ঘ. আপনাদের আত্মীয়দের কেউ কেউ আছেন, যারা শিক্ষকতা করেন স্কুল-কলেজে। টার্গেট থাকবে মিনিমাম এই একটি ইস্যুর জন্য উনাদের বুঝিয়ে সচেতন করা, যাতে তারা তাদের প্রতিষ্ঠানে কোনো উদ্যোগ নিতে পারেন। তা না পারলে অন্তত নিজের ক্লাসে স্টুডেন্টদের সতর্ক করবেন, বোঝাবেন।
৩. লক্ষণীয় – শহরে এই কাজগুলো করার স্কোপ একদমই কম। তাই এসব বিষয় তখনই বাস্তবিক হতে পারে, যখন তা গ্রামের প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োগ করা হবে।
৪. প্রাপ্তি – কম ইনভেস্টমেন্টে তৃণমূলে পৌঁছানো
প্রক্রিয়া : কিছু নিবেদিত মানুষ > গুটিকয়েক মাধ্যম > গুটিকয়েক শিক্ষক > বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী