ভার্সিটিতে কীভাবে কাজ হবে?

যেহেতু ঢাকা সবচেয়ে নষ্ট শহর, নষ্টদের অধিকারে এখানে সবকিছু, তাই এখানকার ভার্সিটিগুলোও সমানুপাতিক হারে নষ্টামির মাত্রা ক্রস করার কথা। পুরান ঢাকা এখনও কিছুটা রক্ষণশীল আছে। কিন্তু নতুন ঢাকার ভার্সিটিগুলো পুরোপুরি লাগামছাড়া।

নর্থ সাউথ, ব্র‍্যাক, আইইউবি ইত্যাদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মুসলিমবঙ্গের যেকোনো জায়গা থেকে বেশি অশ্লীল, বেশি নষ্ট। বসুন্ধরা আবাসিকে থ্রিসাম, ফোরসামের মত কাজের জন্যও রুম ভাড়া দেওয়া হয়। সমক।মিত।, ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড, পতিতাবৃত্তি- কোন জিনিসটা নেই!

এগুলোর অনেককিছুই নিজ চোখে দেখা। এদেরকে দেখে মনে হবে এরা অন্য এক প্রজাতি, যাদেরকে সৃষ্টিই করা হয়েছে শুধু যৌন সঙ্গমের জন্য। সেটা যত বিকৃতভাবে, যত নতুনভাবে করা যায়। এখন অদ্ভুত, নষ্ট, বিকৃত, জঘন্য ও চরম ধিকৃত এক প্রজন্ম এটা।

আমি এদেরকে নিয়ে তেমন কোনো আশা দেখি না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে প্র‍্যাক্টিসিং ভাইদের কাজ কিছুটা আশা দেয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটা সাংস্কৃতিক যুদ্ধ ছুঁড়ে দেওয়া যায়। তৈরি করা যায় একটা কাউন্টার কালচার।

যা করা যায়-

১. ক্যাম্পাসে সরব উপস্থিতি নিশ্চিত করুন:

• প্র‍্যাক্টিসিং ভাইয়েরা সরব উপস্থিতি রাখুন।
• ইসলামী ড্রেসআপ ধারণ করুন।

২. সংগঠিত কার্যক্রম চালান:

• একসাথে বসে প্রকাশ্যে আড্ডা দিন, খাওয়াদাওয়া করুন।
• নাশীদের কোরাস করুন এবং প্রকাশ্যে এক্টিভিটি চালান।

৩. আন্দোলনে নেতৃত্ব দিন:

• অনাচারের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের আন্দোলনগুলোয় সরাসরি লিড দিন।
• এ ধরনের আন্দোলন ক্যাম্পাসে রেসপেক্ট ও ডোমিনেন্স বাড়াতে সাহায্য করবে।

৪. কাউন্টার কালচার তৈরি করুন:

• ক্যাম্পাসে ছোট পরিসরে হলেও একটি কাউন্টার কালচার গড়ে তুলুন। ইসলামী সংস্কৃতির উপস্থিতি নিশ্চিত করুন।
• ক্লাসমেট ও জুনিয়রদের এ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করুন।
• সময়ের সাথে এর প্রভাব বাড়বে এবং বিপরীত কালচার কিছুটা দমে যেতে বাধ্য হবে।

৫. দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করুন:

• সাংস্কৃতিক যুদ্ধকে দীর্ঘমেয়াদীভাবে দেখুন।
• বিপরীত সংস্কৃতির প্রভাব কমানোর জন্য ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যান।

নষ্টদের অধিকার থেকে কেড়ে নেওয়ার লড়াইটা লম্বা হবে, কঠিন হবে। কিন্তু করা লাগবেই। উই ডোন্ট হ্যাভ আ চয়েজ।