ট্রান্স ইস্যুতে আমরা যারা দেশের বিভিন্ন জেলায়/ভার্সিটিতে আন্দোলন করছি বা করব, তাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা –
১. আমরা অবশ্যই অবশ্যই আন্দোলনের আগে বিষয়টা নিয়ে ভালোভাবে পড়াশোনা করে যাব। এই দেশে কারা এই এজেন্ডার পেছনে কাজ করছে, কারা তাদের অর্থায়ন করছে, এক্সাক্ট বইয়ের কোন কোন জায়গাটা সমস্যাজনক.. ইত্যাদি। এই প্রেক্ষিতে আসিফ আদনান ভাইয়ের লেখাগুলো জরুরি।
২. আন্দোলনের উদ্যোগ যারা নিব, তারা অবশ্যই নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে নিব – আমরা আসলে কীসের দাবিতে মাঠে নেমেছি। এটা না করলে পরবর্তীতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মারপ্যাঁচে একেকজন একেক উত্তর দিয়ে ফেললে পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিবে। পারলে বাসা থেকে প্র্যাক্টিস করে যাব।
দাবিগুলো সুনির্দিষ্ট করে নিব।
১ম দাবি A
২য় দাবি B
৩য় দাবি C
এভাবে ঠিক করে নিব। আর মনে করে, বক্তব্যের এবং দাবিগুলোর লিখিতরূপ রেডি রাখব।
৩. কোন কোন গ্রাউন্ড থেকে আমরা এটার বিরোধিতা করতেছি, সেটা অবশ্যই স্পষ্ট রাখব।
৪. হিজড়া এবং ট্রান্স – দুটো আলাদা কমিউনিটি, আলাদা বিষয়। আমরা হিজড়াদের অধিকারের পক্ষে, ট্রান্সদের বিপক্ষে। সেক্ষেত্রে ট্রান্স আর হিজড়ার তফাৎ কোন কোন জায়গায়, সেগুলো তুলে ধরব, নিজেরাও বুঝে নিব।
৫. ট্রান্স হলো সমকা মিতা বৈধতার মাধ্যম। এলজিবিটি আন্দোলনের L, G, B এই তিনটাই সমকামিতা। এই তিনটাকে বাস্তবায়ন করতে ‘T’ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। এই বিষয়টা সহজে তুলে ধরতে হবে।
৬. ট্রানজেন্ডারিজমের প্রভাবে সামাজিক, পারিবারিক যেসব সমস্যার সৃষ্টি হবে, সেসব তুলে ধরতে হবে।
যেমন : মেয়েদের হোস্টেল, টয়লেট, কমনরুমে ছেলেরা থাকতে পারবে, সম্পত্তি ভাগের ক্ষেত্রে ভারসাম্য নষ্ট হবে, নারী কোটায় পুরুষ চাকরি নিবে, বিবাহ এবং রিলেশন সমলিঙ্গের সাথে হবে ইত্যাদি।
৭. রিলিজিয়াস পার্স্পেক্টিভ থেকে কেন এটা হারাম – তার জন্য দলিল-প্রমাণ সাথে রাখব। দেশ-বিদেশের শীর্ষ সকল উলামায়ে কেরাম এবং সকল ধারার দ্বীনি প্রতিষ্ঠান থেকে হারাম ফতোয়া দেয়া হয়েছে ট্রান্সকে, সেগুলো কালেক্ট করব। যাতে কেউ প্রশ্ন করে আটকাতে না পারে যে, ইসলামের কোথায় আছে এটা হারাম।
আল্লাহ আমাদের কবুলিয়াত এবং নুসরাহ দান করুক, আমিন।