ক.
আমি একটা কোচিং সেন্টারে কেমিস্ট্রি পড়াই, একাদশ আর দ্বাদশ শ্রেণীর। গতকাল ক্লাস করার আগে একটা বিষয় মাথায় এলো। এতগুলো স্টুডেন্ট আমার নিয়ন্ত্রণে আছে – এরাই হতে পারে আমার জন্য অ্যাসেট। যেই ভাবা, সেই কাজ।
একাদশের স্টুডেন্টদের কাছে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে আলোচনা করলাম এই বিষয়ে। দ্বাদশে করেছি ২০ মিনিট। এখানে যেই বিষয়টা খেয়াল করা জরুরি , তা হচ্ছে আমি যখন শুরুতে তাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, ট্রা-n+s মানে কী?
যারা শব্দগুলোর সাথে পরিচিত, এরা উত্তর দিয়েছিল হিজড়া। পরে আমি তাদের কাছে ধীরে-সুস্থে দুটোর তফাৎ বুঝিয়ে দিলাম। আর বাংলাদেশে এই এজেন্ডা কীভাবে প্রবেশ করছে – সেসব ধরে ধরে বললাম। মজার বিষয় হলো, কথা শেষে ওদের থেকে দুজন বলে উঠল, ‘ভাইয়া, আমরা কি কোনো আন্দোলন করতে পারি না? এভাবে চুপ করে থাকব?’
আমি এই টাইপের ছেলেদের কাছ থেকে এমন কথা শুরুতে আশা করিনি। কিন্তু পরে বুঝলাম, তাদের মধ্যে তো ফিতরাত আছে। আমরা কেন ভুলে যাই এই কথা? এদের কাছে সাদা-কালোর সীমানা বুঝিয়ে দিতে পারলে, এরাই অনেক কিছু করবে। সীমানা চিনিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আমাদের।
তারপর আমি ওদের ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে বললাম, এক্ষেত্রে তাদের করণীয় কী কী। ওরা আশ্বাস দিয়েছে, ওরা করবে। ওদের এক্সপ্রেশন দেখে বুঝতেছিলাম, ওরা করবে।
এখন এই একই কাজ আমার মতো আরও যারা কোচিং এ ক্লাস নেন, টিউশনের সাথে জড়িত – এমন সবাই করলে কতটা ভালো ইমপ্যাক্ট পড়বে চিন্তা করেছেন?
নোট : এই পদ্ধতি গ্রামাঞ্চলের চেয়ে শহরাঞ্চলের জন্য বেশি উপযোগী।
খ.
তরুণরা সমাজের চালিকাশক্তি। সমাজের ভয়েস তারা। আমরা যারা তরুণ আছি, আমরা নিজেরা তো আশেপাশে অ্যাক্টিভিজম চালাবই; পাশাপাশি আমাদের যারা ফ্রেন্ডসার্কেল আছে, সেইম ডিপার্টমেন্টের, একই এলাকায় থাকে, একসাথে মাঠে খেলতে যায় – এমন ফ্রেন্ডদের এই একটা ইস্যুর গুরুত্ব বুঝিয়ে বলতে পারলে ওরাই বাকি কাজ করে দিবে ইনশাআল্লাহ। কারণ এদের মধ্যে এমন কিছু ফ্রেন্ড থাকে, যারা সবার সাথে সব বিষয়ে নিজের মতামত দেয়, কথাবার্তা বলে, স্পষ্টভাষী। এদের মন-মগজে এই বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে স্টাবলিশ করতে পারলে, এরাই আপনার-আমার চেয়ে বেটার ইমপ্যাক্ট রাখতে পারবে আশা রাখা যায়।